আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। বিধিনিষেধ শিথিলের দ্বিতীয় দিনে আজ শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হচ্ছে। ঘাটে আসা যাত্রীরা ফেরি ও লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে থেমে থেমে বাড়ছে যাত্রীর চাপ।
এদিকে, গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। এতে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছয় শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি এবং পণ্যবাহী ট্রাক। বাড়তি গাড়ির চাপে ব্যক্তিগত যান ও গণপরিবহণে আসা যাত্রীদের নদীর পারাপারে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ।
অন্যদিকে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ সচল থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ ও গাদাগাদি কমে এসেছে। তবে, লঞ্চগুলোতে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি ও ৮২টি লঞ্চ সচল রয়েছে।শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রীর চাপ রয়েছে। নৌরুটে বর্তমানে ৮২টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিস শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ছয় শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব যানবাহন পারাপার করা হবে। লঞ্চ চালু হওয়ায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কমেছে। তবে, গণপরিবহণ ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাকে পারপারে বেগ পেতে হচ্ছে